সরকারের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। গত সেপ্টেম্বরে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যেমন ১৬ সেপ্টেম্বর ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। বেঁধে দেওয়া দাম অনুসারে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম হওয়ার কথা ১৪২ টাকা। তবে গতকালও বাজারে ১৫০–১৭০ টাকা দরে ডিম বিক্রি হয়েছে।
বাজারে সরবরাহ–ঘাটতি মেটাতে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এ অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে গত মাসেও এক দফায় ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তবে বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে প্রতিদিন পাঁচ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে।
অন্যদিকে বর্তমান ডিম আমদানিতে ৩৩ শতাংশ শুল্ক-কর রয়েছে। ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এই শুল্ক–কর সাময়িকভাবে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন।