ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের পর তুরস্কজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিরোধী দল ডাক দিয়েছে বাণিজ্যিক বয়কটেরও। তবে এ সবকিছুকে ‘অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছে তুরস্ক সরকার। বুধবার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বয়কট ডাক দেশের অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা।

দুই সপ্তাহ আগে ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) সরকারঘনিষ্ঠ কোম্পানিগুলোর পণ্য ও সেবার বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক দেয়। বুধবার সেই আহ্বান আরও বিস্তৃত হয় এবং এক দিনের জন্য কেনাকাটা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। এতে কিছু দোকান বন্ধ থাকে, যারা গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছে।

তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বোলাত বলেছেন, ‘এই বয়কট অর্থনীতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা এবং এতে অন্যায্য বাণিজ্য ও প্রতিযোগিতার উপাদান রয়েছে। যারা নিজেদের এই দেশের মালিক মনে করে, এটা তাদের ব্যর্থ প্রচেষ্টা।’ উপরাষ্ট্রপতি জেভদেত ইয়িলমাজও এই বয়কট আহ্বানকে ‘সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

সরকারপন্থী ব্যক্তিরাও এই আহ্বানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। সাবেক জার্মান ও রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলার মেসুত ওজিলসহ অনেকেই #বয়কটদেগিলমিলিজারার বা ‘বয়কট নয়, জাতীয় ক্ষতি’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে তাদের অবস্থান জানিয়েছেন।

বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেল, যিনি রাস্তায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এসব বিক্ষোভ নিয়ে বলেছেন, ‘এগুলো টিকবে না।’

তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। মুদ্রার মান কমে যাওয়া ও ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার চাপে জনগণ বিপর্যস্ত। ফেব্রুয়ারিতে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৩৯ শতাংশ।

এদিকে, যারা বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইস্তানবুলের প্রধান প্রসিকিউটর অফিস। বলা হয়েছে, যারা জনসাধারণকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে চেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক বক্তব্য এবং জনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর অভিযোগ তদন্ত করা হবে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews