নাসা ও ইলন মাস্কের স্পেসএক্স শুক্রবার (স্থানীয় সময়) Crew-10 মিশনের আওতায় নতুন একদল মহাকাশচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) পাঠিয়েছে। এর ফলে, দীর্ঘ নয় মাস মহাকাশে আটকে থাকা সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরের ফেরার পথ তৈরি হলো।
ফ্যালকন-৯ রকেটের মাধ্যমে ড্রাগন মহাকাশযানে করে এই মিশনটি উৎক্ষেপণ করা হয় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একদিন দেরিতে শুক্রবার ভোর ৪টা ৩৩ মিনিটে (ভারতীয় সময়) যাত্রা শুরু করে Crew-10। উৎক্ষেপণের বিলম্বের কারণ ছিল গ্রাউন্ড সাপোর্ট ক্ল্যাম্প আর্মের হাইড্রোলিক সমস্যার কারণে সাময়িক জটিলতা।
নতুন এই অভিযানের চার সদস্য হলেন:
অ্যান ম্যাকক্লেইন (নাসা, নিকোল আয়ার্স (নাসা), তাকুয়া ওনিশি (জাপানের মহাকাশ সংস্থা জাক্সা), কিরিল পেসকভ (রাশিয়ার রসকসমস সংস্থা)
Crew-10 মিশনটি স্পেসএক্সের দশম ক্রু রোটেশন মিশন, যা নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। এটি মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো একাদশতম মানব মহাকাশ অভিযান।
২০২৩ সালের জুনে সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান। পরিকল্পনা ছিল মাত্র আট দিনের মিশন, কিন্তু বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তাদের পৃথিবীতে ফেরার পরিকল্পনা বারবার পিছিয়ে যায়।
প্রথমে ফেব্রুয়ারিতে ফেরানোর কথা থাকলেও সেটিও সম্ভব হয়নি। অবশেষে Crew-10 মিশনের উৎক্ষেপণের কয়েকদিন পর তাদের পৃথিবীতে ফেরানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নাসা জানিয়েছে।
নাসার এই দেরির পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। তারা অভিযোগ করেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইচ্ছাকৃতভাবে এই দুই মহাকাশচারীকে ফেলে রেখেছেন এবং তাদের ফেরানোর পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। তবে এই দাবি নিয়ে মহাকাশ গবেষণা মহলে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। Crew-10 মিশনের সফল উৎক্ষেপণের ফলে আশা করা হচ্ছে, কয়েক দিনের মধ্যেই সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরবেন। দীর্ঘ নয় মাসের অপেক্ষার পর তাদের ফেরার দিন গণনা শুরু হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল