যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় দখলদার ইসরাইলের নতুন করে হামলা টানা নবম দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। এ হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ কমপক্ষে ৩৯ জন শহীদ এবং ১২৪ জন আহত হয়েছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া, দক্ষিণে খান ইউনিস এবং রাফাহসহ উপত্যকাজুড়ে বিমান ও স্থল হামলার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, ১৮ মার্চ গাজায় ইসরাইল পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, মাত্র কিছু ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে আসা অনেক মানুষ এখন রাস্তায় অবস্থান করছে। এখানে খাবার, পানি এবং আশ্রয়ের জন্য অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের খুব অভাব। আল জাজিরা জানিয়েছে, জাবালিয়ায় ইসরাইলি সামরিক বিমান বেসামরিক লোকে ভরা একটি বাড়িতে বোমা মারে। এর ফলে কমপক্ষে আটজন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ছয় মাস বয়সী একটি শিশুও ছিল। গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে একটি আবাসিক ফ্ল্যাটে হামলা চালানো হয়। সেখানে এক শিশু নিহত হয়।
মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে রিপোর্ট করা আল জাজিরার তারেক আবু আযম বলেছেন, রাতটি চরম ধ্বংসযজ্ঞে পরিপূর্ণ। ইসরাইলি বাহিনী মধ্য ও উত্তর গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বোমাবর্ষণ করছে। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় এখানকার মানুষ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বেশ আতঙ্কিত। উত্তরের গাজা শহর থেকে আল জাজিরার হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, ইসরাইলি হামলায় বাস্তুচ্যুত মানুষেরা এখন যে কোনো জায়গা খুঁজছে, যাতে তারা সামান্য হলেও নিরাপদে থাকতে পারবে। তারা তাঁবুর জায়গায়, জনাকীর্ণ এলাকায়, প্রায় ধসে পড়া বা আংশিকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলোতেও চলে যাচ্ছে আশ্রয়ের খোঁজে।