ধর্ষণ শব্দটি ব্যবহার না করা আর ধর্ষণ বন্ধ করা সমার্থক নয়। ধর্ষণ শব্দ উচ্চারণ না করলেই কি এই জঘন্য পুরুষতান্ত্রিক অপরাধটি বন্ধ হয়ে যাবে? সংবাদমাধ্যমে খুন শব্দটি না লিখলেও খুন বন্ধ হবে না। সমাজে ধর্ষক ও ধর্ষণ থাকবে অথচ তাকে নারী নির্যাতন বলে লঘু করে দেখা হবে, এটা হতে পারে না।
ধর্ষককে ধর্ষকই বলতে হবে। ধর্ষক যে অপরাধে অভিযুক্ত, সেটা ধর্ষণই। এটাকে নারী নির্যাতন বা নিপীড়ন বলে আড়াল করা যাবে না।
সমাজে ধর্ষকের মতো চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারীও ঘৃণিত শব্দ। আমরা কি তাই বলে চোরকে চোর, ডাকাতকে ডাকাত ও ছিনতাইকারীকে ছিনতাইকারী বলব না? অবশ্যই বলব। অন্য কোনো শব্দ দিয়ে ওই সব অপরাধীকে চিহ্নিত করা যাবে না।
ধর্ষকের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ধর্ষককে ধর্ষকই বলতে হবে। আর ধর্ষক যে অপরাধ করেছেন, সেটা ধর্ষণই।
একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বছিলার একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা, আমরা “ডিটেক্ট” করেছি। দু-তিন ঘণ্টায় কয়েকবার দেখিয়েছে। যেসব ঘটনা “প্যানিক” সৃষ্টি করে, “সেন্স অব ইনসিকিউরিটি” তৈরি করে, তা যদি আপনারা বারবার না দেখান, তাহলেই আমার মনে হয় ভালো হবে।’
ছিনতাইয়ের ঘটনার প্রচার যদি আতঙ্ক সৃষ্টি করে, তাহলে পুলিশের প্রথম দায়িত্ব ছিনতাই রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। টিভিতে ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রচার করলে প্যানিক হয় না, প্যানিক সৃষ্টি হয় যখন এ ধরনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরব থাকে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।