ইজতেমা আসা মানেই দুপক্ষ হয়ে যাওয়া, যেমনটা এবারও হয়েছে এবং সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে সেখানে আবার নিহত হওয়ার ঘটনাও রয়েছে আর এই দ্বন্দটা মূলত যাকে ঘিরে সে হচ্ছে মাওলানা সাদ ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই মাওলানা সাহাদ কে ? তার পুরো নাম হচ্ছে সাদ কান্দলবী। তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস কান্দলবী এর ছেলে হচ্ছে মাওলানা হারুন কান্দলভী তার ওই ছেলে হচ্ছেন মাওলানা সাদ কান্দলভী ।
তাকে নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে উপমহাদেশে বেশ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে । মাওলানা সাদ ভারতীয় আলেম তাবলীগ জামাতের বিশ্ব মারকাজ বা কেন্দ্র হলো দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ এই কেন্দ্রের দায়িত্বে যিনি থাকেন তাকেই বিশ্ব তাবলীগের আমির বলা হয়। সেই হিসাবে বর্তমানে তাবলীগের আমির হচ্ছে মাওলানা সাদ । তবে মাওলানা সাদের অনেকগুলো বক্তব্য আছে যা অগ্রহণযোগ্য বলে মত দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ডিসেম্বরে জারি করা এক ফতোয়ায় মাওলানা সাদের করা সমালোচনা করেছে দেওবন্দের ফতোয়া বোর্ড । তারা তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল তাবলীগ জামাত আমাদের মাওলানা সাদ কান্দলবীর সংঘর্সে যারা আছেন তাদেরকে সাবধান করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে মাওলানা কান্দলবী কোরআন এবং হাদিসের কিছু বিষয়ে এমন সব ব্যাখ্যা দিচ্ছেন যা সত্য থেকে বিচ্যুত এবং আলেম ওলামাদের সর্বসম্মত মতামতের বিরোধী । বাংলাদেশ পাকিস্তান এবং ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে বিতর্কিত বক্তব্যের একাধিক অভিযোগ পেয়ে তা যাচাই বাছাইয়ের পর দেওবন্দ এই সিদ্ধান্তে আসে বলে জানানো হয়েছিল। ফতোয়ায় আরো বলা হয়েছিল যদি দ্রুত স্বাদ কান্দলবীর ব্যাপারে সতর্ক না হন তাহলে মুসলমানদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিভ্রান্তিতে পতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।