মুরালি যে অমন নিরামিষ সব উত্তর দিয়েছিলেন, এর কারণ বোধ হয় শুধুই বিতর্ক-ভীতি ছিল না। ১৯৯৬ সালের মুত্তিয়া মুরালিধরন লাজুক এক তরুণ। কথায় কথায় হাসেন। পারলে কথার কাজও হাসি দিয়ে সারেন। তাঁকে নিয়ে আলোচনায় সবার মুখেই একটা কথা ‘কমন’ পেয়েছি—এত বিতর্ক, এত ঝড়ঝাপটা, কিন্তু ছেলেটার মুখে হাসিটা ঠিকই অমলিন। পরে সেই শ্রীলঙ্কায় গিয়েই আবার স্থানীয় সাংবাদিকদের মুখে অভিযোগ শুনেছি, ‘মুরালি বেশি বকবক করে। সব ব্যাপারেই ওর মত আছে!’
ক্রিকেট এবং এর সঙ্গে জীবন নাটকীয়-গ্লানিকর-আনন্দময় এত সব অভিজ্ঞতার সঙ্গে মুরালিকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে যে তাঁর পক্ষে ওই লাজুক তরুণটি হয়ে থাকা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোলার মুরালিধরন তো অবশ্যই বদলেছেন। হয়তো মানুষ মুরালিধরনও। শুধু্ একটি জিনিসই বদলায়নি।
মুখের ওই অমলিন হাসিটা।