ভারতের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে ২য় টি-টোয়েন্টিতে ২২১ রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে ডেসিংরুমে আসা-যাওয়াতেই ব্যাস্ত ছিলো বাংলাদেশের ব্যাটাররা। যেহেতু সিরিজ বাঁচানোর জন্য ম্যাচটিতে জিতা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিলো না সেহেতু দর্শকদের আশা ছিলো এই ম্যাচটিতে অন্তত একটু দায়িত্ব নিয়ে খেলবেন দলের সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

তবে রিয়াদ যে ভঙ্গিতে খেললেন এটাকে কোনভাবেই আধুনিক টি-টোয়েন্টি ধরণের খেলা বলা চলে না। তাঁর ৩৯ বলে ৪১ রানের টুকটুক ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে। তবে ইনিংসের পরে তাঁর ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া একটি স্টাটাস ঘিরে এখন চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। 

এর আগে গতকাল (বুধবার) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানের রেকর্ড পুঁজি গড়েছিল ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা নীতিশ রেড্ডি। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে টেনেটুনে ১৩৫ রানে থামে বাংলাদেশ। হার ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে। 

বাংলাদেশের বিপক্ষে চলমান সিরিজে জসপ্রীত বুমরাহ, পান্তদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের বিশ্রামে রেখেই স্কোয়াড সাজিয়েছিল ভারত। এ ছাড়া অবসর নেওয়ায় দলে নেই কোহলি-রোহিতদের মতো অভিজ্ঞরাও। বরং অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের সুযোগ দেখা হচ্ছিল এই সিরিজে। দুই ম্যাচ হেরে এখন শঙ্কা জেগেছে হোয়াইটওয়াশের।  

টি-টোয়েন্টিতে যে মাঠে আগের ইনিংসেই ভারতের ব্যাটাররা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল টাইগার বোলারদের ওপর, অথচ একই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ খেলতে পারলেন কেবল ৪১ রানের ইনিংস। এই রান তুলতে বল খরচ করেছেন ৩৯টি। ১০৫ স্ট্রাইক রেটে তার এমন ব্যাটিং নিয়েও চাইলে সমালোচনা করা যায়। 

যদিও আগ বাড়িয়ে সমালোচনার সুযোগটা করে দিয়েছে তার এক পোস্ট। ম্যাচ শেষের পরপরই মাহমুদউল্লাহর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ৩৯ বলে ৪১ রানের ইনিংসের একটি ফটো কার্ড পোস্ট করা হয়। যেখানে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘রিয়াদের মাস্টারক্লাস! চাপের মধ্যে ৪১ রানের ইনিংস। আর একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি বাকি।’

মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এমন পোস্ট। দলের বাজে হারের পরও কীভাবে নিজের ইনিংস নিয়ে এভাবে তৃপ্ত থাকতে পারেন, এমন প্রশ্নও তোলা হয়। বিশেষ করে ২২১ রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে ৩৯ বলে ৪১ রানের ইনিংসটিকে কীভাবে ‘মাস্টারক্লাস’ বলা যায়! অবশ্য সমালোচনার মুখে ‘মাস্টারক্লাস’ শব্দটা মুছে দেওয়া হয়েছে। 

আগের পোস্ট এডিট করে ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে, রিয়াদ ভারতের বিপক্ষে চাপের মুহূর্তে ৪১ রানের ইনিংস খেলেছেন। আর একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি বাকি। ক্যাপশনের শেষে অ্যাডমিন শব্দটা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। 

বিষয়টি নিয়ে এক ক্রীড়া সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করে লিখেছেন, হতে পারে মাহমুদউল্লাহর ফেসবুক থেকে তার এডমিন পোস্টটি করে থাকতে পারেন। কিন্তু পোস্টটি যে-ই করুক, যার নামে পেইজ এর দায়ভারও তার। মাঠের পারফরম্যান্সে সমর্থকদের তুষ্ট করতে না পারা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উচিত উল্টোপাল্টা পোস্ট করে হাসির পাত্র না হওয়া। 

বিডি প্রতিদিন/আশিক



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews