হোয়াইট হাউসের ডজ অফিসের কাজ থেকে সরে আসবেন মাস্ক। ছবি: রয়টার্স

হোয়াইট হাউসের ডজ অফিসের কাজ থেকে সরে আসবেন মাস্ক। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ফেডারেল সরকার ছোট করে আনার প্রচেষ্টার মূল ব্যক্তি ছিলেন ইলন মাস্ক। এখন তিনি বলেছেন, তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স ও বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা টেসলার কাজে আবার তাকে মনোযোগী হতে হবে।

মার্কিন এই ধনকুবের বলেছেন, তিনি আবারও নিজের কোম্পানিগুলোর ওপর মনোযোগ দিতে চান যেগুলো তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বানাতে সাহায্য করেছে।

শনিবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ মাস্ক লিখেছেন, “আবার ২৪/৭ ঘণ্টা কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকছি আমি এবং কোম্পানির কনফারেন্স রুম, সার্ভার রুম বা ফ্যাক্টরিতেই আমি ঘুমাচ্ছি।”

প্ল্যাটফর্মটি শনিবার ব্যাপক বিভ্রাটের মুখে পড়ার পর মাস্ক এক্স-এ এক পোস্টে এসব লিখেছেন বলে বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

তিনি আরও লিখেছেন, “আমাকে এখন এক্স, এক্সএআই ও টেসলায় খুব মনোযোগ দিতে হবে, সেইসঙ্গে আগামী সপ্তাহে স্টারশিপ উৎক্ষেপণও আছে। কারণ আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রযুক্তি চালু করতে যাচ্ছি।”

এর আগে, গত মাসে মাস্ক বলেছিলেন, “আমার ধারণা, যতদিন প্রেসিডেন্ট চাইবেন ও যতদিন আমাকে দরকার হবে ততদিন সপ্তাহে এক-দুই দিন সরকারি কাজে সময় দেব আমি। তবে আগামী মাস থেকে আমি টেসলাকে অনেক বেশি সময় দেব। কারণ ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি গঠনের মূল কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।”

বিজনেস ইনসাইডার লিখেছে, মাস্কের ট্রাম্প প্রশাসনে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্মীদের মধ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা দিয়েছে, যার ফলে অনেক কর্মী নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ‘কনজিউমার ফিনান্সিয়াল প্রোটেকশন ব্যুরো’ ও ‘ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট’-এর মতো কিছু বড় সংস্থাকেও টার্গেট করেছে মাস্ক ও ট্রাম্প প্রশাসন।

জানুয়ারি থেকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের প্রায় সব জায়গায় উপস্থিত ছিলেন মাস্ক এবং এর ফলে সাধারণ মানুষের কাছে এক বিতর্কিত ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন তিনি।

তবে মঙ্গলবার কাতার ইকোনমিক ফোরামে ভার্চুয়াল উপস্থিত থেকে মাস্ক বলেছেন, রাজনৈতিক ব্যয়ে “অনেক কম” অবদান রাখবেন তিনি। তবে তার এই সিদ্ধান্তের কারণ স্পষ্ট করেননি মাস্ক।

তিনি আরও বলেছেন, “ভবিষ্যতে যদি আমি রাজনীতির পেছরন খরচ করার কোনও কারণ দেখতে পাই, তবে আমি তা করব। কিন্তু এখনও কোনো কারণ দেখছি না আমি।”

সরকারি কাজের মাস্কের নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলে টেসলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল, ফলে শেয়ারের দাম কমে গিয়েছিল কোম্পানিটির।

তবে কোম্পানিটির আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের সময় মাস্ক বলেছিলেন, হোয়াইট হাউসের ডজ অফিসের কাজ থেকে সরে আসবেন তিনি। এ ঘোষণার পরপরই টেসলার শেয়ারের দাম আবারও বেড়ে যায়।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews