শেফিল্ড ইউনাইটেডের গোলরক্ষকের এমন ‘অসহায়ত্ব’ দেখে মায়া হয়নি শুধু নিউক্যাসল ইউনাইটেড খেলোয়াড়দের। মায়া হলে কি আর কালাম উইলসন-ব্রæনো গিমারায়েস-অ্যান্থনি গডিনরা ওভাবে গোল-উৎসব করতে পারতেন! তা কয়টি গোল করেছে নিউক্যাসল- ৮টি; সেটাও ৬৬ মিনিটের ব্যবধানে। মানে, গড়ে প্রতি ৮ মিনিট ২৫ সেকেন্ড পর পর একটি। ঘরের মাঠ ব্রামল লেনে গতপরশু সেই ৮ গোলে উড়ে গেছে শেফিল্ড; যা ক্লাবটির ১৩৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হার। আর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে নিউক্যাসলের সবচেয়ে বড় জয়।
এই ৮ গোল আবার করেছেন ৮ জন- শুরুটা করেছেন শন লংস্টাফ আর শেষটা অ্যালেক্সান্ডার ইসাক। বাকি ৬ গোলদাতা স্টিভ বোটম্যান, কালাম উইলসন, অ্যান্থনি গডিন, মিগুয়েল আলমিরন ও ব্রæনো গিমারায়েস। প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে এবারই প্রথম এক ম্যাচে একই দলের ভিন্ন ৮ ফুটবলার গোল পেলেন। ২০২১ সালে সউদী মালিকানায় চলে আসা নিউক্যাসল প্রিমিয়ার লিগে আগের সবচেয়ে বড় জয়টিও পেয়েছিল ৮-০ ব্যবধানে; সেটাও শেফিল্ড ইউনাইটেডরই নগর প্রতিদ্ব›দ্বী শেফিল্ড ওয়েনসডের বিপক্ষে ১৯৯৯ সালে।
তবে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি এখনো নিউক্যাসলের তৃতীয় বড় জয়। ১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় স্তরের লিগে নিউপোর্ট কাউন্টির বিপক্ষে ১৩-০ ব্যবধানের জয়টা এখনো তাদের ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বড়। এরপরই আছে ১৯৩২ সালে এফএ কাপে সাউথপোর্টের বিপক্ষে ৯-০ ব্যবধানে জয়।