২৮ জানুয়ারি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের সাউথ এশিয়া সেন্টার আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, 'সমাজের সমতা প্রতিষ্ঠা এবং ধর্মকে রাজনীতির বাইরে রাখার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে মতাদর্শ, তা এখনও সারা পৃথিবীর জন্য প্রাসঙ্গিক। ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার না করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর শক্তিশালী স্বতন্ত্র যে ধরন ছিল, বর্তমান সময়ে তার বিস্তৃত ব্যবহার রয়েছে। যা কেবল বাংলার জন্য নয়, সারা পৃথিবীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।' অনবদ্য বিশ্নেষণে অধ্যাপক সেন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়নে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা বিশেষভাবে উপস্থাপনের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধুর সেক্যুলারিজম ধারণার মানে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকবে না, এমন নয়। সেটা ছিল ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার হবে না।' তিনি বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতা দর্শন ব্যাখ্যায় ষোড়শ শতকের সম্রাট আকবরের মতাদর্শের তুলনামূলক আলোচনায় বলেন, 'বঙ্গবন্ধু ও আকবরের মতাদর্শ এখনও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটা কেবল ভারতে ব্যবহূত হতে পারে তা নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও প্রাসঙ্গিক।'

ধর্মান্ধ নয়; বিশ্বের সব ধার্মিক ও মনুষ্যত্ব-মানবিকতায় পরিশুদ্ধ মানুষমাত্রই কালান্তরে গণতান্ত্রিক-অসাম্প্রদায়িক জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে যাদের সক্রিয় অবদান-প্রাণবিসর্জন রয়েছে, অকৃত্রিম শ্রদ্ধা-কৃতজ্ঞতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় তাদের স্মরণ করে থাকে। যথার্থ অর্থে তাদের সুনাম-সম্মান সমাসীন করা না হলে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আলোকিত ভবিষ্যৎ নির্মাণ কঠিন। বিপরীতে পরাজিত অন্ধকারের অশুভ শক্তিও বিজয়ের আনন্দবার্তা ও গৌরবোজ্জ্বল পটভূমিকে শুধু কলুষিত করবে না; নানা অপকৌশলে বিকৃত ইতিহাসপাঠে জনগণকে বিভ্রান্ত করার সব নষ্ট সম্ভাবনাকে ঘৃণ্য পন্থায় কাজে লাগাবে। আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় যে কোনো সমাজ ইতিহাস পর্যালোচনায় দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির নিরন্তর প্রতিফলন অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত। ভাব-বস্তুবাদী দর্শনের আপেক্ষিক সম্মিলনে প্রাচীনকাল থেকেই ধর্ম ইহ ও পারলৌকিক বিশ্বাস এবং কর্মের ভিত্তিকে শক্তিমান করেছে। মূলত মানবিক মূল্যবোধের অনুরুদ্ধ বিকাশমানতা ও জনকল্যাণে নিবেদিত কর্মযজ্ঞের অনভিভূত ধারণায় ধর্ম যুগে যুগে নানা কাঠামোয় পল্লবিত হয়েছে। জাতি-বর্ণ-মানুষ-অঞ্চলভেদে প্রতিষ্ঠিত ও প্রতিপালিত ঐতিহ্য-কৃষ্টি-সংস্কৃতির বর্ণিল অবগাহনে ধর্মের চিরায়তরূপ জ্ঞাপিত। জীবনধর্মী কর্মপ্রবাহে ন্যায়-অন্যায়, শুভ-অশুভ, পাপ-পুণ্য, সত্য-মিথ্যার দোলাচলে অদৃশ্য-অজানা অনুভূতির মানদণ্ডে পারলৌকিক ইতিবাচক ফলাফল প্রত্যাশায় ধর্মভিত্তিক আচার-আচরণ কখনও সমাজকে করেছে উজ্জীবিত; কখনও অতিশয় নিষ্প্রভ।

বিরোধ-বিচ্ছেদ-প্রতিহিংসা-পরশ্রীকাতরতা-লোভ-লালসার চরিতার্থে পার্থিব অর্জনকে সব সুখবোধের অনন্য গন্তব্যের বিপরীতে ত্যাগ-তিতিক্ষা- সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি-বন্ধুত্বই ছিল অপার মহিমায় ভাস্বর। নৈতিক ও আদর্শিক চিন্তা-চেতনার বন্ধন বরাবরই তৈরি করেছে সব মানুষের জন্য নিরাপদ-গ্রহণযোগ্য-পারস্পরিক স্নেহ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধার পূর্ণোপমা বৈচিত্র্য। ধর্মের বিভাজিত সংঘর্ষ-সংঘাত পরিহার ও উন্নত মানবজীবন নির্মাণে উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে কবি শেখ ফজলল করিমের কালজয়ী 'স্বর্গনরক' কবিতা অনুপম ধর্মনিরপেক্ষ দর্শনের প্রতিচ্ছবি। 'কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর/ মানুষেরি মাঝে স্বর্গনরক-মানুষেতে সুরাসুর।/ রিপুর তাড়নে যখন মোদের বিবেক পায় গো লয়,/ আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনই পুড়িতে হয়।/ প্রীতি-প্রেমের পুণ্য বাঁধনে মিলি যবে পরস্পরে/ স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।' উক্ত কবিতায় প্রতিটি পঙ্‌ক্তি ও শব্দচয়ন নবতর ধ্যান-ধারণার লৌকিক-অলৌকিক প্রপঞ্চগুলো অনন্য উপমায় প্রজ্বলিত করেছে।

আমাদের হয়তো অনেকেরই জানা, ধর্মনিরপেক্ষতা প্রত্যয় বা আদর্শ আক্ষরিক অর্থে সংস্কৃত-বাংলা থেকে উদ্ভূত নয়। এটি ইংরেজি 'সেক্যুলারিজম' প্রত্যয়ের অনুবাদ প্রতিশব্দ। ভারতবর্ষে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনে ধর্মনিরপেক্ষতা শিক্ষাচিন্তার ইহজাগতিকতায় পরিপুষ্ট। ১৮০২ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসন প্রণীত নীতি-নৈতিকতার ব্যাখ্যাসমৃদ্ধ পত্রের আলোকেই ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করে আমেরিকার সংবিধানে প্রথম সংশোধন আনা হয়। ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের পর ১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটেনের লেখক জর্জ জ্যাকব হলিওয়েফ সর্বপ্রথম ভাষা ও সাহিত্যে সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি ব্যবহার করেন। প্রায় শত বছর পর খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ অন্নদাশঙ্কর রায়ের মতানুসারে; এই উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রথম রাষ্ট্র-চিন্তায় ব্যবহার করেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।

ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংজ্ঞায়িত করতে কৃতী সমাজ-দার্শনিকরা নিজ ধর্মের প্রতি আনুগত্য ও অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল মানসিকতাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। রাষ্ট্র শাসনেও একই ধারায় সব ধর্ম-ধর্মাবলম্বীর প্রতি যৌক্তিক সহনশীলতাকে রাষ্ট্রের মৌলিক নীতিরূপে বিবেচ্য হয়ে আসছে। অবশ্যই ধার্মিকতা ও ধর্মান্ধতার পার্থক্য নিরূপণে প্রত্যেক জাতি-রাষ্ট্রকে জাগরূক রাখতে হবে। অন্যথায় এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সমাজকে অন্ধকারের গহ্বরে নিমজ্জিত করবে। শুধু বাংলাদেশে নয়, পুরো বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত সত্য হচ্ছে; ধার্মিক বা ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অসাম্প্রদায়িক ধারণায় ঋদ্ধ এবং ধর্মান্ধরাই সাম্প্রদায়িক কদর্য অপশক্তিকে ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে লিপ্ত থাকে। প্রাসঙ্গিকতায় ১৯৭২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গণপরিষদে খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদন উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু জাতির আদর্শের মৌলিক চারটি স্তম্ভ তথা বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। চতুর্থ স্তম্ভ- 'ধর্মনিরপেক্ষতা' বিশ্নেষণে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, 'ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মকর্ম করার অধিকার থাকবে। আমরা আইন করে ধর্মকে বন্ধ করতে চাই না এবং করব না। মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা এই রাষ্ট্রে কারো নাই।'

পবিত্রতম আরাফাত ময়দানে প্রায় এক লাখ ১৪ হাজার সাহাবির সম্মুখে বিদায় হজখ্যাত ভাষণের শুরুতেই সম্বোধন করেছিলেন 'হে বিশ্ব মানবকুল'; অর্থাৎ কোনো বিশেষ সম্প্রদায়, জাতি-রাষ্ট্র বা ধর্ম-বর্ণ নয়, মহান স্রষ্টার সৃষ্টির সেরা সমগ্র মানবসমাজের উদ্দেশ্যেই তার এই ভাষণ ছিল বিশ্বশ্রেষ্ঠ মানবাধিকার সনদ। প্রিয় নবীর এই মহামূল্যবান অমীয় ভাষণকে বিশ্বের সব ধর্ম-বর্ণ-দলমত-অঞ্চল-নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার কাছে পরম গ্রহণযোগ্য প্রেষণা ও অনুপ্রেরণা। মনীষী শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, শ্রীচৈতন্যসহ জীবনের সত্য-সুন্দর-কল্যাণ-আনন্দ অনুসন্ধানে যারা নিরন্তর মানবকল্যাণে সর্বোচ্চ ত্যাগ-তিতিক্ষায় রাজবর্ত্ম উত্তীর্ণ, ধর্মের বিভেদ-বিচ্ছেদে চরম পীড়িত ছিলেন তারা। এমনকি একই হিন্দু ধর্মের মধ্যে শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈব, সৌর, ব্রাহ্মণ একের প্রতি অন্যের উদ্ধত খÿহস্ত থেকে পরিত্রাণের জন্য নিম্ন শ্রেণির মানুষের জয়গানে তারা নিবিড় প্রকর্ষে মুখর ছিলেন। ধর্মের সঙ্গে ধর্মের, বর্ণের সঙ্গে বর্ণের, উঁচু ও নিচু বর্ণের মধ্যকার বৈষম্য, ধনী-দরিদ্রের বিভাজন ও নিপীড়ন দূরীকরণে তাদের অবদান ছিল অপরিসীম। রবিঠাকুর মনোগত বেদনাশ্রয়ী হয়ে তার 'শিশুতীর্থ' কবিতায় লিখেছিলেন, 'রাত কত হ'লো? উত্তর মেলে না।' রবিঠাকুরের আর্তবাণী আমাদের মানবিক সমাজের অখণ্ড বৈশিষ্ট্যকে এখনও নিরাতঙ্ক প্রতিভাত করছে!

১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় সফরে কলকাতা ব্রিগেড ময়দানে বঙ্গবন্ধু তার আবেগঘন ভাষণে আদর্শিক ভাবধারার চেতনাসূচি প্রকাশ করে বলেন, 'নীতির জন্য সংগ্রাম করেছিলাম। আজ আমার দেশ সার্বভৌম।' তিনি বিশ্বকবি রবিঠাকুরের 'প্রান্তিক' কাব্যগ্রন্থের পঙ্‌ক্তি উপস্থাপনে বলেন, 'নাগিনীরা চারিদিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস,/ শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস-/ বিদায় নেবার আগে তাই ডাক দিয়ে যাই/ দানবের সাথে যারা সংগ্রামের তরে প্রস্তুত হইতেছে ঘরে ঘরে'। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর পরিপূর্ণ সহযোগিতা-সমর্থন এবং বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য বিশ্ববাসীকে উদ্বুদ্ধ করার মৌলিক ভিত্তি হিসেবে গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্র-ধর্মনিরপেক্ষ ও জাতীয়তাবাদের নৈতিক-আদর্শিক অভিন্ন মতাদর্শকেই মূল্যায়ন করেছেন। ১৯৭২ সালের ঐতিহাসিক ৭ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছিলেন, 'এ মাটিতে ধর্মহীনতা নাই, ধর্মনিরপেক্ষতা আছে। এর একটা মানে আছে। এখানে ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না। ধর্মের নামে মানুষকে লুট করে খাওয়া চলবে না। ধর্মের নামে রাজনীতি করে রাজাকার, আলবদর পয়দা করা বাংলার বুকে চলবে না। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।'

পাপাচার-কদাচার-মিথ্যাচার-প্রতারণা-দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে দেশ ধ্বংসের নতুন কদর্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে লিপ্ত অভিশপ্তদের উদ্দেশে দেশের বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদ তার কবিতায় লিখেছেন- 'সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে'- 'আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।/ কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ/ নদীরে পাগল করা ভাটিয়ালি খড়ের গম্বুজ/ শ্রাবণের সব বৃষ্টি নষ্টদের অধিকারে যাবে।/ রবীন্দ্রনাথের সব জ্যোৎস্না আর রবিশংকরের/ সমস্ত আলাপ হৃদয়স্পন্দন গাথা ঠোঁটের আঙুর/ ঘাইহরিণীর মাংসের চিৎকার মাঠের রাখাল/ কাশবন একদিন নষ্টদের আধিকারে যাবে।/ চ'লে যাবে সেই সব উপকথা :সৌন্দর্য-প্রতিভা- মেধা;- এমনকি উন্মাদ ও নির্বোধদের প্রিয় অমরতা/ নির্বোধ আর উন্মাদদের ভয়ানক কষ্ট দিয়ে/ অত্যন্ত উল্লাসভরে নষ্টদের অধিকারে যাবে।' দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপামর জনসাধারণ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের তীক্ষষ্ট চেতনাবোধে উজ্জীবিত বাংলাদেশ সব বাধা-বিপত্তি নিধনে মহান স্বাধীনতার ইতিহাস-কৃষ্টি-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিসহ সত্য-সুন্দর-কল্যাণ-মঙ্গল-আনন্দের সব অনুষঙ্গ এসব নষ্টদের কবল থেকে দখলমুক্ত ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ অপরাজিত রাখবেই।

সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews