তাদের এসব যুক্তিতে ত্রুটি আছে। প্রথম ত্রুটি হচ্ছে ভোটের হিসাব করে কর্তৃত্ববাদী ঠেকানো সম্ভব নয়। ইরান, তুরস্ক বা রাশিয়ায় নিয়মিত নির্বাচন হয়। তাদের নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি অনিয়মের তথ্য পশ্চিমা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। আবার একই সঙ্গে এই তিন দেশে কর্তৃত্ববাদ ঠেকানো সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য তুরস্কে সংসদ গঠিত হয় সংখ্যানুপাতিক পার্টি লিস্ট পদ্ধতিতে; কিন্তু সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা রয়েছে। তাই এই পদ্ধতির সংসদের খুব বেশি গুরুত্ব নেই। তুরস্কে এখন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানই শেষ কথা, ইরানের আয়াতুল্লা আলী খামেনি বা রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের মতো।

দ্বিতীয়ত আসনভিত্তিক পদ্ধতিতে সংখ্যালঘুর সরকার গঠিত হয় না। যেমন ১৯৯১ সালে বিএনপি ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। তাদের আসন সংখ্যা ছিল ১৪০। আর আওয়ামী লীগ মোট ভোট পেয়েছিল প্রদত্ত ভোটের ৩০ দশমিক ১ শতাংশ; কিন্তু তাদের আসন ছিল ৮৮টি। আবার ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৯৩ আসনে জয়ী হয়। আর আওয়ামী লীগ ৪০ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে মাত্র ৬২ আসনে জয়ী হয়। এ পদ্ধতিতে দেশকে বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে বিভাজিত করে স্থানীয় জনসাধারণের চাওয়াকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। মতামতের একধরনের বিকেন্দ্রিকতা এই পদ্ধতিতে লক্ষ্য করা যায়। তাই সর্বোচ্চ আসন পাওয়া দলটি সরকার গঠন করে।

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি প্রথম এসেছে আওয়ামী লীগের মিত্রদের কাছ থেকে। ’৯০ দশকে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের মিত্র কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবির তরফ থেকে প্রথম সংখ্যানুপাতিক আসন বণ্টনের কথা বলা হয়। এরপর আরেক আওয়ামী মিত্র জাতীয় পার্টি এ বিষয়ে আলাপ তুলে। এরপর আওয়ামী লীগের নেতারাও বিভিন্ন সময় এর পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। এসব তথ্য পাওয়া খুব কঠিন বিষয় নয়। ইন্টারনেট ঘাঁটলেই এসব তথ্য বেরিয়ে আসবে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews