জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, এই অভ্যুত্থানের ইতিহাস বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার সংগ্রামের ফসল। নতুন বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) খুলনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই অনুষ্ঠানে সারজিস আলম আরো বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তারা জীবন দিয়ে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন। এ বাংলাদেশ আত্মপ্রত্যয়, দুর্বার ও সাহসের বাংলাদেশ।
এ সময় অন্য বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে একটি মহল অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। অভ্যুত্থানকে বির্তকিত করার চেষ্টা এখনো চলছে। ছাত্রদের স্পৃহা, মনের আকাঙ্ক্ষা আমাদের বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। গত ১৫ বছর সবক্ষেত্রে বৈষম্য ছিল। আমাদের সমাজ ও বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনভাবে গড়ে তুলতে হলে সবক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫৮ জন শহীদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট দু’কোটি ৯০ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো: ফিরোজ সরকার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: জুলফিকার আলী হায়দার, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি মো: হাসানুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো: তারিকুল ইসলাম, আশরফা খাতুন ও মো: ওয়াহিদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তা, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ও খুলনা জেলার সমন্বয়ক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।