হিন্দি নিয়ে তামিলনাড়ুর মতো এত তীব্র স্পর্শকাতরতা দক্ষিণের অন্য রাজ্যগুলোয় না থাকলেও সংসদের বহর বৃদ্ধি নিয়ে সবাই শঙ্কিত। লড়াইটাকে স্ট্যালিন তাই উত্তর বনাম দক্ষিণের দ্বন্দ্ব করে তুলতে চাইছেন। ইতিমধ্যে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে গৃহীত সর্বসম্মত প্রস্তাবের সুপারিশ, আগামী ৩০ বছর সংসদের আসন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হোক।
স্ট্যালিন এক সর্বদলীয় অ্যাকশন কমিটিও গঠন করেছেন, যার কাজ হবে ওই প্রস্তাবের পক্ষে অন্য রাজ্যগুলোর সমর্থন আদায়। সে জন্য ২২ মার্চ বৈঠক ডেকেছেন। দেশের সাত মুখ্যমন্ত্রী ও তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে (চন্দ্রশেখর রাও, জগনমোহন রেড্ডি ও নবীন পট্টনায়ক) সেই বৈঠকে যোগ দিতে আমন্ত্রণপত্রও পাঠিয়েছেন। তাঁর কাছে এটা এসপার–ওসপার লড়াই।
প্রাথমিকভাবে স্ট্যালিন সফল। কংগ্রেস–শাসিত কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। কেরালাও আপত্তি করবে না। অন্ধ্র প্রদেশের ‘মোদি–মিত্র’ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকেও বাঁচতে হলে এই প্রবাহে গা ভাসাতে হবে। কারণ, অন্ধ্র প্রদেশের আসনসংখ্যাও বাড়বে নামমাত্র। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও ওডিশার মুখ্যমন্ত্রীরা পাশে দাঁড়ালে বিষয়টা শুধু আর বিজেপি বনাম বিরোধীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।