টানা দুই জয়ে আসরে দারুণ শুরু করেছিল ধানমন্ডি ক্লাব। তবে হেরে যায় পরের দুই ম্যাচে। তবে ব্যর্থতার পরিধি আর বড় হতে দিলেন না নুরুল হাসান সোহান। দুর্দান্ত এক শতক হাঁকিয়ে দলকে ফিরিয়েছেন জয়ের ধারায়।
রোববার বিকেএসপিতে শাইনপুকুরকে ৯৭ রানে হারিয়েছে ধানমন্ডি ক্লাব। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান করে ধানমন্ডি। জবাবে ৪৫.৩ ওভারে ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় শাইনপুকুর।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য তেমন ভালো হয়নি ধানমন্ডির। ৭৬ রানে হারায় ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ধানমন্ডি। যেখানে বলার মতো স্কোর কেবল ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহানের, ৪২ বলে ৪৫ রান। ইয়াসির আলিও পারেননি থিতু হতে।
এরপর ১১৩ রানের জুটি গড়েন নুরুল হাসান ও সানজামুল ইসলাম। ৫৪ বলে ৪০ রান করে সানজামুল ফিরলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন নুরুল। ১৩১ বলে ১৩২ রান করেন তিনি। রাফসান নেন ৩ উইকেট।
ব্যাট করতে নেমে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি শাইনপুকুর। দলটির পক্ষে ৭০ বলে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন রহিম আহমেদ। তাছাড়া মিনহাজুল আবেদিন ৩৫ ও আলি মোহাম্মদ করেন ২২* রান।
বল হাতে ৪ উইকেট নেন সানজামুল। ৩ উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
দিনের অন্য ম্যাচে সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিতে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। আগে ব্যাট করে ২৬০ রানে অলআউট হয় রূপগঞ্জ। জবাবে ৪৪.৫ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অগ্রণী ব্যাংক।
রূপগঞ্জের হয়ে ১০৯ বলে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন ওপেনার অমিত মজুমদার। এ ছাড়া ৭৭ বলে ৫৭ রান আসে আসাদুল্লাহ আল গালিবের ব্যাটে। ৩টি করে উইকেট নেন রুয়েল মিয়া ও তাইবুর রহমান।
রান তাড়ায় অপরাজিত ১০৮ বলে ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন সাদমান ইসলাম। আর ৫৮ বলে ৬২ রান করেন ইমরুল কায়েস। ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন মার্শাল আইয়ুব।
অন্যদিকে পারটেক্সকে ৫৭ রানে হারিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে গুলশান। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম।
রান তাড়ায় ৪৩.২ ওভার খেলে ১৬৪ রানে অলআউট হয় পারটেক্স। দলটির হয়ে ৩৮ বলে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন রবিউল ইসলাম। নিহাদুজ্জান, নাইম ইসলাম ও আসাদুজ্জামান পায়েল নেন জোড়া উইকেট।