দলটির নেতা-কর্মীদের অনেকে বলছেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতৃত্বে অস্পষ্টতা ছিল লক্ষণীয়। এতে নেতা-কর্মীরা বিভ্রান্তিতে পড়েন। শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় পার হওয়ার সাড়ে আট ঘণ্টা পর বিএনপি সিদ্ধান্ত নিল যে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। তারও ১১ ঘণ্টা পর গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হলো। এর আগেই দলটির প্রায় অর্ধশত নেতা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এখন তাঁদের নির্বাচন থেকে ফেরাতে সাংগঠনিক খড়্গ আরোপসহ দলকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
বিএনপির নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি করল কেন, সে প্রশ্নে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে তো কোনো নির্বাচন নেই। সুতরাং অংশগ্রহণের প্রশ্নও নেই। বিএনপি যে উপজেলা নির্বাচনে যাবে না—সে বার্তা এমনিতেই আছে, তা সবাই জানে। তবু এটি দলীয়ভাবে বলার দরকার, সে জন্য বলা হয়েছে, এটুকই।’
তবে দলের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন, এবার উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের বিষয়ে দল কতটা কঠোর হবে, তা নিশ্চিত নয়। এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় প্রায় ২০০ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। বিগত আন্দোলনের সময় তাঁদের অধিকাংশের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দল। এবারের উপজেলা নির্বাচন দলের জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আবার মাঠপর্যায়ের নেতাদের বহিষ্কার বা দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে দল সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হয়ে যেতে পারে।