প্রকাশ করুন: আপনি কেমন অনুভব করছেন, তা নিজের ভেতরে আবদ্ধ না রেখে কাছের মানুষজনের কাছে মন খুলে বলুন। লিখতে পছন্দ করলে লিখেও নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন। নিজেকে প্রকাশ করলে আপনার শিশুসত্তা স্বস্তি পাবে।
কৃতজ্ঞ থাকুন: ছুটির ফ্রেমবন্দী স্মৃতিগুলো দেখুন এবং নিরাপদে সুন্দর একটা সময় পার করে এসেছেন বলে তৃপ্ত ও কৃতজ্ঞ থাকুন। স্বজনদের কথা মনে পড়লে যোগাযোগ করে খোঁজখবর নিন। উৎসবের ছুটি শেষ মানেই কর্মজীবন থেকে ছুটি শেষ, তা কিন্তু নয়। সাপ্তাহিক ছুটি আনন্দে কাটানোর জন্য পরিকল্পনা করুন। কাজে উদ্দীপনা আনতে নিজেকে মনে করিয়ে দিন, আপনার কাজ কেন গুরুত্বপূর্ণ।
দেহঘড়ি মেরামত করুন: ছুটিতে ঘুম ও খাওয়াদাওয়ার রুটিন বদলে যায়। রাতে কম ঘুমিয়ে সকালে কাজে গেলে সহজেই ক্লান্তি আসে ও মেজাজ বিগড়ে যায়। ছুটি শেষে তাই নিয়ম ও সময় মেনে সুষম খাবার খাওয়া, রাতে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং সামান্য হলেও শরীরচর্চা করে দেহঘড়ি সচল রাখা প্রয়োজন।
আমাদের অনুভূতি ও আচরণ অনেকাংশেই আমাদের চিন্তাধারার ওপর নির্ভর করে। কাজে ফেরা মানেই কঠিন ও ক্লান্তির জীবন, এমন চিন্তাধারা আমাদের মনোবল ভেঙে দিতে পারে। বরং কর্মদীপ্ত থাকা, কাজ ও বিশ্রামের ভারসাম্যের মধ্যেই প্রকৃত প্রশান্তি, এমন দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথচলাকে সহজ করে তোলে।