ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দুটি সংক্রমণের বাহক একই মশা। তাই একই ব্যক্তির শরীরে একই সময়ে দুটি ভাইরাস সংক্রমিত হওয়া সম্ভব। একইসঙ্গে দুটি ভাইরাসের প্রকোপ বাড়লে একসঙ্গে দুটি রোগ সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। বাহক মশা একইসঙ্গে দুটি সংক্রমণ বহন করতে পারে। দুটি সংক্রমণ একসঙ্গে হলে আলাদা আলাদাভাবে শরীরের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াতে উপসর্গ অনেক সময় একই রকম হয়। জ্বর, মাথাব্যথা, শারীরিক দুর্বলতা, বমি বমি ভাব/বমি, শরীরব্যথা, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, এগুলো থাকতে পারে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দুটিতেই শরীরে র‌্যাশ/চুলকানি দেখা দিতে পারে। চিকুনগুনিয়ায় র‌্যাশ বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া অনেক রোগীর শুরুর দিকে ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।

দুটি সংক্রমণের নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। পর্যাপ্ত পানি পান, বিশ্রাম ও প্রয়োজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। NSAIDs (যেমন : আইবুপ্রোফেন) ডেঙ্গু সন্দেহে নিষেধ, কারণ তা রক্তপাত বাড়াতে পারে।

ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে ‘শক সিনড্রোম’ রোগীর মৃত্যুর কারণ। কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো থাকলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। নাক বা দাঁত দিয়ে রক্তপাত, কালো পায়খানা, নারীদের মাসিকের অতিরিক্ত রক্তপাত বা হঠাৎ মাসিক হওয়া। চিকুনগুনিয়া প্রাণঘাতী নয়। চিকুনগুনিয়ায় অস্থিসন্ধির ব্যথা থাকতে পারে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত। যদি কোনো ব্যক্তির জ্বর থাকে এবং গাঁটে তীব্র ব্যথা থাকে, তখন ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া উভয়ের পরীক্ষা করা উচিত।

লেখক : মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি., শ্যামলী, ঢাকা।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews