ইউক্রেন এখনও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত নয় বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাক। কেননা, দেশটির কাছে অস্ত্র, নিরাপত্তা গ্যারান্টি ও আন্তর্জাতিক মর্যাদার অভাব রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সম্প্রচারিত একটি সাক্ষাত্কারে এই কথা বলেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
পাবলিক ব্রডকাস্টার সাসপিলনকে একটি সাক্ষাতকার দেওয়া সময় আন্দ্রি ইয়ারমাক এই মন্তব্য করেন। তার এই মন্তব্যটি এমন সময় এলো যখন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রকাশ্যে একটি আলোচনার মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তির সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করেছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো প্রতিবেশী ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে।
ইউক্রেন আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত কি-না জানতে চাইলে ইয়ারমাক সুসপিলনেকে বলেন, ‘এখনই নয়।’
‘আমাদের কাছে অস্ত্র নেই, আমরা যে মর্যাদার কথা আমরা বলছি আমাদের কাছে তা নেই। এর অর্থ হলো, ন্যাটোতে একটি আমন্ত্রণ। আর আমাদের একটি স্পষ্ট গ্যারান্টি দেওয়া, যাতে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফিরে আসবেন না।’
চলতি সপ্তাহে জার্মানবিরোধী নেতা ফ্রেডরিখ মার্জের সঙ্গে জেলেনস্কির করা মন্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চায় এবং তার দেশকে শক্তিশালী করতে ও ক্রেমলিনকে শান্তির জন্য কাজ করতে বাধ্য করতে প্রচেষ্টার প্রয়োজন ছিল।
জনসাধারণের উদ্দেশ্যে দেওয়া সাম্প্রতিক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, রাশিয়া সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। তিনি বলেছিলেন, তবে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য সব সদস্য দেশকে একটি আমন্ত্রণ পাঠাতে হবে। যদিও জোটের মর্যাদা শুধু কিয়েভ কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। তবে প্রকৃত নিরাপত্তা গ্যারান্টি স্থাপন করতেই হবে।
গত সপ্তাহে প্যারিসে থাকাকালীন জেলেনস্কি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় গেলে ’২৪ ঘণ্টার মধ্যে’ যুদ্ধ শেষ করবেন। তবে তিনি ঠিক কীভাবে এটি করবেন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্য হওয়ার যে কোনও ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। পুতিন বলেছেন, কিয়েভকে অধিকৃত চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চল ক্রেমলিনের আংশিক অধিকারকে মেনে নিতে হবে।