প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা হলো, সবার, এমনকি যাঁরা খরচ বহন করতে পারবেন না, তাঁদেরও খরচ তিনি বহন করবেন—এমন মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা এক দিনে হবে না। দেশের ১৭ কোটি মানুষকে এক দিনে টিকা দেওয়া যাবে না। তবে আমরা বিশ্বাস করি, সফল হব। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে এগোব।’
সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে ভারতের চেয়ে প্রায় ৪৭ শতাংশ বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে বাংলাদেশের। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি এই টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরামের কাছ থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনছে বাংলাদেশ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সেরামের উৎপাদিত টিকা কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজ কিনতে বাংলাদেশকে খরচ করতে হচ্ছে ৪ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এর দাম পড়ে প্রায় ৩৪০ টাকা (১ ডলার= ৮৪.৯৬ টাকা)। আর সেরামের কাছ থেকে ভারত সরকার প্রতি ডোজ টিকা কিনছে ২ দশমিক ৭২ ডলার বা তাদের ২০০ রুপিতে, যা বাংলাদেশের ২৩১ টাকার মতো। সেই হিসাবে বলা যায়, টিকার প্রতি ডোজ কিনতে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশকে প্রায় ৪৭ শতাংশ বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।