জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি এম এস জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে আমরা চিঠি দিয়েছি। আমাদের কিছু করার নেই। বিদেশ থেকে যাঁরা আসেন, তাঁরা আমাদের কাছে ডলার বিক্রি করে থাকেন। বিদেশ থেকে মানুষ আসা কমে গেছে, এ জন্য ডলারের সরবরাহ নেই। ফলে মানি চেঞ্জারে ডলার মিলছে না। এটাই বাস্তব অবস্থা। ব্যাংক আমাদেরকে কোনো ডলার দিচ্ছে না। ব্যাংক আমাদের কাছে ১১৮ টাকায় ডলার দিলে ১১৯ টাকার মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব ছিল।’
আজ গুলশানে একাধিক মানি চেঞ্জারে সরেজমিনে গেলে বিক্রেতারা জানান, ১১৯ টাকায় বিক্রি করার মতো কোনো ডলার নেই। তারা বাইরে থেকে সংগ্রহ করে দেওয়ার আগ্রহ দেখান, তবে জানান যে এ জন্য ডলারপ্রতি ১২৫ টাকা দাম দিতে হবে। নির্দেশনার পরও নির্ধারিত দামে কেন ডলার মিলছে না, তা জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, তাঁরা কম দামে ডলার সংগ্রহ করতে পারছেন না, ফলে ১১৯ টাকায় তা বিক্রি করাও সম্ভব হচ্ছে না।
দামের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য চাইলে এই বিক্রেতারা নাম প্রকাশ করে মন্তব্য করতে রাজি হননি। এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ না করার জন্যও তাঁরা অনুরোধ জানান। তাঁরা বলেন, নাম লিখলে নানা সংস্থা তাঁদের ব্যবসা পরিদর্শন করবে এবং এর ফলে তাঁদের লাইসেন্সও বাতিল হয়ে যেতে পারে।