চাকরি হারানোর শঙ্কায় ছিলেন গৌতম গম্ভীর। এ যাত্রায় অবশ্য বেঁচে যাচ্ছেন ভারতের প্রধান কোচ। তবে কোচিং প্যানেলের ওপর পড়েছে কোপ। সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ ও ট্রেনার সোহম দেশাই হারিয়েছেন চাকরি। এছাড়া চাকরি ঝুঁকিতে আছেন কয়েকজন।
ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই এখনও এসব পদে নতুন কাউ কে নিয়োগ দেয়নি। যারা চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের ফেরার পথও আপাতত বন্ধ। ভারতের একাধিক মিডিয়া জানিয়েছে, মূলত বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে দল ব্যর্থ হওয়ার কারণেই এদের চাকরি গেছে।
রোহিত শর্মাদের প্রধান কোচ গম্ভীরও ছিলেন ছাঁটাই লিস্টে। তবে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতানো কোচ পাচ্ছেন আরও কিছু সময়। আইপিএলের পর ভারতের বেশ কিছু বড় বড় সিরিজ, সেই সিরিজের আগে দলকে ঢেলে সাজাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের বোর্ড। তবে বিসিসিআই এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
তবে ভারতের গণমাধ্যম বলছে, কোচিং প্যানেলের ছাঁটাই খুব দ্রুতই কার্যকর হতে যাচ্ছে। অভিষেক নায়ারকে কোচিংয়ে এনেছিলেন গম্ভীর। তবে মাত্র ৮ মাসের মাথায় হারাচ্ছেন দায়িত্ব। রোহিতদের হয়ে দীর্ঘদিন কোচের দায়িত্ব সামলানো টি দিলীপকেও সরিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। জানা যাচ্ছে, আপাতত ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব সামলাবেন রায়ান টেন দুশখাত।
আইপিএলের পর ইংল্যান্ডের খেলতে যাবে ভারত। সেখানে যেন দল কোনো সমস্যায় না পড়ে তাই আগেভাগে সতর্ক থাকতে চায় টিম ইন্ডিয়া। একই সঙ্গে যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছিল, তাদেরও শাস্তি শোনাতে চায় রোহিত-কোহলিদের বোর্ড।