মুসলিম প্রধান দেশ জর্ডান ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে যে কারণে

ছবির উৎস, Getty Images

  • Author,

    আকবর হোসেন

  • Role,

    বিবিসি নিউজ বাংলা

  • ৫৫ মিনিট আগে

ইসরায়েল ইস্যুতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব দেশ জর্ডানের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। ইরানের ড্রোন ও মিসাইল থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য আমেরিকা ও ব্রিটেনের পাশাপাশি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে জর্ডান।

যদিও এক বিবৃতিতে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তারা নিজের দেশকে রক্ষা করার অংশ হিসেবে ইরানের ড্রোন ভূপাতিত করেছে, ইসরায়েলকে সাহায্য করার জন্য নয়।

জর্ডানের এই বিবৃতিকে ‘ভারসাম্য রক্ষার’ বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। কোনো কেনো পর্যবেক্ষক বলছেন - হামাস, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যে সংঘাত চলছে সেখানে ‘ক্রসফায়ারে’ পড়তে চায় না জর্ডান।

একথা ঠিক যে জর্ডানের রাজতন্ত্রের সাথে পশ্চিমা বিশ্বের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। গত ২৫ বছর যাবত জর্ডানের বাদশাহ রয়েছেন দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। পর্দার আড়ালে জর্ডানের সাথে ইসরায়েলের সম্পর্কও একেবারে খারাপ নয়।

“জর্ডান প্রমাণ করতে চেয়েছে যে তারা আমেরিকা এবং ইসরায়েলের ভালো সহযোগী। কিন্তু এ বিষয়টি নেতানিয়াহুর কাছে থেকে আশা করবেন না। গাজায় হামলা বন্ধ এবং পশ্চিম তীর ও জেরুসালেমে উস্কানি বন্ধ করার জন্য আম্মানের আহবানের সাড়া দেবে না,” ‘এক্স’ প্লাটফর্মে লিখেছেন ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর গবেষক এমিলি হোকায়েম।

তবে ভিন্ন যুক্তিও আছে। ভৌগোলিকভাবে জর্ডানের অবস্থান এমন একটি অবস্থায় রয়েছে যে ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে কোন যুদ্ধ শুরু হলে সেটির সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে জর্ডানের ওপর।

“ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এই উত্তেজনা যদি পুরোপুরি যুদ্ধে রূপ নেয় তাহলে এখন যাদের ইসরায়েলের রক্ষাকর্তা বলে মনে করা হচ্ছে তারাও একসময় আক্রান্ত হবে এবং সেই যুদ্ধে তাদেরও টেনে আনা হবে,” লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক আটলান্টিক কাউন্সিলের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ডেপুটি ডিরেক্টর মাসুদ মোস্তাজাবি, যিনি নিজে জর্ডানের নাগরিক।

তিনি লিখেছেন, জর্ডানে বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি শরণার্থী, ভঙ্গুর অর্থনীতি এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থান – এসব কিছুই তাদের জন্য চিন্তার কারণ।

ম্যাপে ইসরায়েল ও জর্ডানের অবস্থান

জর্ডান ইসরায়েল স্বার্থ

১৯৯৪ সালে জর্ডান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি হয়, যার মাধ্যমে জর্ডান ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৯ সালে মিশর ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবার পর জর্ডান ছিল স্বীকৃতি দানকারী দ্বিতীয় মুসলিম দেশ।

ইসরায়েলের সংবাদপত্র 'টাইমস অব ইসরায়েল' এ প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে জর্ডান এবং ইসরায়েলের মধ্যে পানি চুক্তি নবায়ন করার জন্য জর্ডান ইসরায়েলের প্রতি আহবান জানায়। কিন্তু এর বিপরীতে ইসরায়েল জর্ডানকে পাল্টা শর্ত দিয়েছে।

এই শর্ত হচ্ছে – গাজা ইস্যুতে জর্ডান যাতে খুব বেশি শক্ত অবস্থান না নিয়ে তাদের অবস্থান নরম করে।

২০২২ সালের নভেম্বর মাসে আরেকটি চুক্তির আওতায় জর্ডান ইসরায়েলের কাছে সৌর বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে।

পর্যবেক্ষকের অনেকেই বলছেন, জর্ডান প্রকৃতপক্ষে একটি 'চিকন সুতোর' ওপর দিয়ে হাঁটছে। একদিকে আমেরিকা এবং ইসরায়েলের সাথে তাদের কৌশলগত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা। কারণ, আর্থিকভাবে দুর্বল দেশ জর্ডান নানা ধরনের সহায়তার জন্য আমেরিকা এবং ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করতে হয়।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা। কারণ, জর্ডানের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ফিলিস্তিনি শরণার্থী।

 জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ

দ্য ওয়াশিংটন ইন্সটিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসি’র সিনিয়র ফেলো ঘাইথ আল-ওমারি দ্য টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছেন , বেশ কয়েক বছর ধরে ইরান চেষ্টা করছে জর্ডানের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে। যেমনটা ইরান করেছে ইরাক, সিরিয়া, লেবানন এবং ইয়েমেনের ক্ষেত্রে। এসব দেশে ইরানের এক ধরনের রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাব তৈরি হয়েছে। ফলে এসব দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে গেছে। ইরান চেষ্টা করছে জর্ডানেও তাদের সে প্রভাব তৈরি করতে।

“ইসরায়েল যদি জর্ডানের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে আক্রমণ করে তাহলে সেটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ইরান জর্ডানেও হামলা করতে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে জর্ডান চিন্তিত,” লিখেছেন আল-ওমারি।

“জর্ডান এবং ইসরায়েলের মধ্যে নানা ধরনের রাজনৈতিক উত্তেজনা সত্ত্বেও সামরিক এবং গোয়েন্দা সহযোগিতা তখনো থেমে থাকেনি,” বলেন মি. ওমারি।

তিনি বলেন, ইসরায়েল এবং জর্ডান উভয় দেশ সামরিক ক্ষেত্রে পরস্পরের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে।

১৯৯৪ সালে জর্ডান ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি চুক্তির পর থেকে দুই দেশের মধ্যে শক্ত নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সহযোগিতা তৈরি হয়েছে। মুসলিমদের পবিত্র এলাকা আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডের মুতওয়াল্লি বা কাস্টোডিয়ান হচ্ছে জর্ডান।

শান্তিচুক্তি অনুযায়ী মাল্টি বিলিয়ন ডলার প্রজেক্টের মাধ্যমে ইসরায়েল জর্ডানে গ্যাস ও পানি সরবরাহ করে। পৃথিবীর যেসব দেশে পানির তীব্র সংকট রয়েছে তার মধ্যে জর্ডান অন্যতম। জর্ডান চারপাশ থেকে স্থল সীমা বেষ্টিত।

শান্তি চুক্তি

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

১৯৯৪ সালে হোয়াইট হাউজে ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন এবং জর্ডানের তৎকালীন বাদশা হুসেইন শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

ইসরায়েল খুশি

ইরানের প্রতিশোধমূলক আক্রমণ থেকে জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা করেছে তাতে বেশ খুশি হয়েছে ইসরায়েলিরা। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম বিশ্লেষণ করলে সে চিত্র দেখা যায়।

টাইমস অব ইসরায়েল-এর এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ইরানের হামলা রুখতে জর্ডান যেভাবে সহায়তা করেছে তাতে অনেক ইসরায়েলিও বিস্মিত হয়েছে।

কারণ, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের কড়া সমালোচক হচ্ছে জর্ডান। তারা ইসরায়েলের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য জর্ডানের সরকার দেশের ভেতরে জনগণের দিক থেকে বেশ চাপের মুখে আছে।

তবে ইসরায়েলের প্রতি জর্ডানের সামরিক সাহায্যের বিষয়টি একেবারে আকস্মিক কিছু নয় বলেও মনে করেন অনেকে।

দ্য ওয়াশিংটন ইন্সটিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসি’র সিনিয়র ফেলো ঘাইথ আল-ওমারি দ্য টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছেন – জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে সেটির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শক্ত নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।

জর্ডান বিক্ষোভ

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

ইসরায়েলের বিপক্ষে জর্ডানের রাস্তায় বিক্ষোভ।

ইতিহাস কী বলে?

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত মোট চারটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে জর্ডান। ১৯৯৪ সালে জর্ডান এবং ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিচুক্তি হয়।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ‘ইউএন রিলিফ এন্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রেফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট’- এর হিসেবে মতে প্রায় ২২ লাখ ফিলিস্তিনী শরণার্থী জর্ডানে নিবন্ধিত আছে। কিন্তু নিবন্ধনের বাইরেও আরো অনেক ফিলিস্তিনি শরণার্থী জর্ডানে অবস্থান করছে। সবমিলিয়ে এই সংখ্যা ৩০ লাখ কিংবা তার চেয়ে বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।

১৯৫১ সালে জর্ডানের তৎকালীন বাদশাহ আবদুল্লাহ জেরুসালেমে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের সময় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একজন ফিলিস্তিনি আরব এই হত্যাকারী ছিলেন।

বাদশাহ আবদুল্লাহকে ফিলিস্তিনিদের অনেকেই পছন্দ করতেন না। এর একটি বড় কারণ ছিল প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ এবং পরবর্তীতে ফিলিস্তিন নিয়ে তার ভূমিকা।

শুধু তাই নয়, ১৯৭১ সালে জর্ডানের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করেছিল ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীরা।

মাহমুদ আব্বাস

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ।

যদিও প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে কয়েকটি প্রতিবেশী আরব দেশের দেশের সাথে মিলে জর্ডানও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। জর্ডান যুদ্ধে অংশ নিলেও ভেতরে ভেতরে বাদশাহ আবদুল্লাহ ইসরায়েলের সাথে আঁতাত করেছেন।

প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ১৯৫০ সালে জর্ডান তাদের সীমান্তের সাথে ফিলিস্তিনি কিছু ভূখণ্ডকে জর্ডানের অন্তর্ভুক্ত করেছিল। বাদশাহ আবদুল্লাহ’র এই পদক্ষেপ পশ্চিমা দেশগুলো সমর্থন দিলেও ফিলিস্তিনিরা সেটি মানতে পারেনি।

বাদশাহ আবদুল্লাহকে হত্যা করার পর মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র গোপন প্রতিবেদনে তাকে ব্রিটেন-পন্থী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তখন সিআইএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাদশাহ আবদুল্লাহ’র হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে কমিউনিস্ট বিরোধী এবং পশ্চিমা-পন্থী একজন শাসকের অবসান হলো।

বাদশাহ আবদুল্লাহ

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

১৯৪৮ সালে ট্রান্সজর্ডানের (বর্তমানে জর্ডান) বাদশাহ আবদুল্লাহ।

তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে অংশ নেবার বিষয়ে জর্ডানের কোন আগ্রহ ছিলনা। তখন জর্ডানের বাদশা ছিলেন হুসেইন।

তার নীতি ছিল আরব জাতীয়তাবাদ এবং ইসরায়েলের সাথে সহাবস্থানের নীতি। যদিও ১৯৫৬ সালে সুয়েজ খাল সংকট নিয়ে জর্ডান ইসরায়েলের বিরুদ্ধাচরণ করলেও পরবর্তীতে ইসরায়েলের ব্যাপারে তিনি অনেকটা বাস্তববাদী অবস্থান গ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে জর্ডানের বাদশা হুসেইন গোপনে আলোচনা শুরু করেন ইসরায়েলি নেতাদের সাথে।

ইরাকি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ-ইসরায়েলি ইতিহাসবিদ আভি শ্লেইম 'ওয়ার এন্ড পিস ইন দ্য মিডল ইস্ট' বইতে লিখেছেন, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল যখন জর্ডানে হামলা চালায় তখন জর্ডানও এই যুদ্ধে জড়িয়ে যায়।

ফিলিস্তিনের ভূমিতে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য আলাদা দুটি রাষ্ট্র গঠনের যে প্রস্তাব জাতিসংঘে উত্থাপিত হয়েছিল সেটিকে একমাত্র আরব দেশ হিসেবে সমর্থন দিয়েছিল জর্ডান। সেটির বিনিময়ে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ অন্যান্য আরব ভূমি তাদের আওতায় আনতে চেয়েছিলেন।

বাদশাহ আবদুল্লাহ

ছবির উৎস, Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

১৯৫১ সালে জর্ডানের তৎকালীন বাদশাহ আবদুল্লাহ এবং ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নেস্ট বেভিন।

সেন্টার ফর ইসরায়েল এডুকেশন বলছে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার কিছুদিন আগে তৎকালীন প্রভাবশালী ইহুদি নেতা গোল্ডা মেইর আম্মানে গিয়ে গোপনে বৈঠক করেছিলেন জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সাথে।

প্রথম আরব ইসরায়েল যুদ্ধের পর জর্ডান আনুষ্ঠানিকভাবে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয়। সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের জর্ডানের নাগরিকত্ব দেয়া হয়।

সেন্টার ফর ইসরায়েল এডুকেশনের ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, এর আগে ইসরায়েল এবং জর্ডানের মধ্যে বেশ কিছু গোপন বৈঠক হয় যুদ্ধবিরতি নিয়ে। আরব লীগের অন্যান্য দেশ জর্ডানের এসব কর্মকাণ্ড তখন মেনে নিতে পারেনি।

১৯৬৭ সালে তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের আগ পর্যন্ত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেম জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সে যুদ্ধের পর এসব অঞ্চল ইসরায়েল দখল করে নেয়।

এরপর ২০ বছর ধরে জর্ডান চেষ্টা চালিয়েছিল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেম ফেরত পেতে। শেষ পর্যন্ত ১৯৮৮ জর্ডান পশ্চিম তীর থেকে তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করে এবং বিষয়টি প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের ওপর ছেড়ে দেয়। কিন্তু তারা পূর্ব জেরুসালেমের ওপর তাদের প্রভাব বজায় রাখতে চেয়েছিল। তবে তাতে তারা সফল হয় নি।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews