ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে 'নতুন মিশন', 'নতুন পথচলার' সিরিজে আসিসির ওয়ানডে সুপার লিগে পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। সরাসরি ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলার পথে শুরু করেছে দারুণভাবে। তবে এই সিরিজের বাইরে বাংলাদেশের সামনে আছে চ্যালেঞ্জিং চারটি অ্যাওয়ে সিরিজ। ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে খেলতে সেখান থেকে পয়েন্ট তুলে নেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ।
আইসিসির ওয়ানডে এই সুপার লিগ শুরু হওয়ার কথা ছিল গত ১ মে থেকে। তবে ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে জুলাইয়ে হয়েছে শুরু। শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালের মার্চে। তবে করোনার কারণে লিগ ভিত্তিক এই আসর শেষ হতে আরও দেরি হবে। কারণ এরই মধ্যে স্থগিত হয়ে গেছে বেশ ক'টি সিরিজ।
সুপার লিগে অংশ নেবে আইসিসির পূর্ণ সদস্য ১২টি দেশ ও সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস। সেখান থেকে আটটি দল সরাসরি অংশ নেবে ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ বিশ্বকাপে। ভারত স্বাগতিক দেশ হিসেবে সরাসরি জায়গা পাবে এই বিশ্বকাপে। তারা সেরা আটে শেষ করলে তাই সরাসরি সাতটি দল বিশ্বকাপে জায়গা পাবে। টেবিলের পরের পাঁচ দল বাছাইপর্ব খেলবে দ্বিতীয় টায়ারের বাছাইপর্ব খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের বিপক্ষে। সেখান থেকে বিশ্বকাপে আসবে দুটি দল।
আইসিসির এই ওয়ানডে সুপার লিগ ১৩টি দেশ অংশ নিলেও একে-অপরের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে না সবাই। বরং আটটি সিরিজ খেলবে প্রতি দল। যার মধ্যে চারটি হোম এবং বাকি চারটি অ্যাওয়ে ভিত্তিকে। প্রতি সিরিজ হবে তিন ম্যাচের। প্রতি দল তাই খেলবে মোট ২৪টি করে ম্যাচ। প্রতি ম্যাচের পয়েন্ট থাকবে দশ করে। এছাড়া ম্যাচ পরিত্যক্ত, ড্র কিংবা বাতিল হলে পাঁচ পয়েন্ট করে ভাগাভাগি হয়ে যাবে।
মোট ২৪০ পয়েন্টের এই প্রতিযোগিতায় মোটামুটি ১২০ পয়েন্ট পেলে ওই দলের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সম্ভাবনা থাকবে। দুই বছরের এই সময়ে আইসিসি সুপার লিগের এই সিরিজ ছাড়াও দেশগুলো খেলতে পারবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। তবে তার পয়েন্ট এই টেবিলে যোগ হবে না। এছাড়া স্লো ওভার রেটের কারণে পয়েন্টও কাটা হবে। যেমন ভারত তিন ম্যাচ খেলে একটিতে জিতলেও তাদের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৯। কারণ স্লো ওভার রেটের কারণে কাটা হয়েছে তাদের এক পয়েন্ট।
বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে। এই সফরসহ ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এফটিপিতে দশটি সিরিজ ধরে রাখা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড এবং ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে। এছাড়া কিউই সফর ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেতে হবে সাকিব-তামিমদের। ওই সিরিজের সবগুলো অবশ্য আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ নয়।